ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সরকারি আগর বাগানে ১০ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে দিলেন দুর্বৃত্তরা

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের পেকুয়ায় সরকারি আগর বাগানে ১০লক্ষাধিক টাকার দুই শতাধিক গাছ কেটে দেয়া ও পাচার করার অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা।

এছাড়াও বেশ কিছু কেটে রাখা গাছ পাচার করার আগেই বনবিভাগ জব্দও করেছে বলে নিশ্চিত করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।

গত ১৫ দিন ধরে উপজেলার বারবাকিয়া রেঞ্জের অধিন টৈটং বনবিটের আওতাধীন চনখোলার ঝুম তোয়াব মিয়ার খোলা এলাকায় স্থীতি বনায়ন থেকে গাছগুলো পাচার করছিলেন টৈটং মিয়াজির ঘোনা পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মোঃ জব্বার ও ধনিয়াকাটা এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে আবুল হোসেন।

এমন অভিযোগ করেছেন, সরকারি বনবিভাগ ২০১০ সালে দেয়া আগর বাগানের টিম লিডার ও উপকারভোগী নাছিমা আক্তারের স্বামী ফিরোজ আহমদ, আনিছুর রহমান, মোঃ রফিক, জাকের হোসেন ও সিকান্দর।

এই বনায়নের গ্রুপ লিডার নাছিমা আক্তারের স্বামী ফিরোজ আহমদ বলেন, আমরা ৫০ জন উপকারভোগীকে ২০১০ সালে সরকারি বনবিভাগ থেকে আগর বাগান করে বনায়ন করে দেন। আমরা তা রক্ষনাবেক্ষণ করে যাচ্ছিলাম। সব ঠিকমত চলছিল। কিন্তু আজ জানতে পারলাম জব্বার আর আবুল হোসেনসহ সংঘবদ্ধ ১৫ জনের একদল লোক আমাদের বনায়ন থেকে গাছ কেটে পাচার করছেন। দ্রুত আমরা আগর বাগান কল্যাণ সমিতির সভাপতি টৈটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম শহিদুল্লাহকে অবগত করে বনায়নে গিয়ে দেখি বেশ কিছু অষ্ট্রিয়া, ম্যালেরিয়া ও আগর গাছ কেটে নিয়েছে তারা। আরো বেশ কিছু গাছ কাটা অবস্থায় দেখে বনবিভাগকে খবর দিলে বিট কর্মকর্তা গার্ড বিল্পবকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে কাটাগাছগুলো জব্দ করেন।

আনিছুর রহমান, মোঃ রফিক, জাকের হোসেন ও সিকান্দর বলেন, তারা আমাদের বহুদিনের কষ্টের গাছগুলো কেটে পাচার করতে বনবিভাগের পাহাড় কেটে রাস্তাও তৈরি করেছে। বেশ কিছু গাছ তারা পাচার করলেও আরো বেশ কিছু গাছ জব্দ করতে পেরেছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি।

আগর বাগান কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম শহিদুল্লাহ বলেন, গাছ কেটে নেয়ার বিষয়টি জানার সাথে সাথেই বারবাকিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। তারা প্রায় ১০লাখ টাকার মত গাছ কেটে ফেলেছে। যা আমারমত আরো ৫০ জন উপকারভোগীর ক্ষতি ছাড়াও সরকারি বনবিভাগের ক্ষতি হয়েছে।

বারবাকিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি গাছ কাটার বিষয়টি জানার সময় এলাকার বাইরে থাকলেও দ্রুত বিট কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে গাছগুলো জব্দ করেছি। কিছু গাছ বিটে নিয়ে আসা হয়েছে। কিছু গাছ উপকারভোগীদের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিট কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: